মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জন্য স্থানীয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকার কীটনাশক ও সরঞ্জাম কেনার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার।
এর আওতায় ২০০টি ফগার মেশিন, ১৫০টি হস্তচালিত মেশিন ও ৪০ হাজার লিটার কীটনাশক কেনা হবে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এক মাসের মধ্যেই উত্তর সিটি করপোরেশন এসব ওষুধ ও সরঞ্জাম হাতে পাবে বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল জানিয়েছেন।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে অর্থমন্ত্রী সভার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, “এসব ক্রয়ের জন্য টেন্ডার করলে অনেক সময় লাগবে। জাতির কথা বিবেচনা করে এ ক্রয়ের (সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাজার দরে এসব সরঞ্জাম ও কীটনাশক সংগ্রহ করা হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে তা দেশে আসবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জন্য এ ধরনের কোনো প্রস্তাব না পাওয়ায় কেবল উত্তরের জন্য ক্রয় প্রস্তাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
“উত্তর সিটি যেহেতু কিনছে, দক্ষিণও হয়ত কিনবে। মশা মারা এ কার্যক্রম সারা বছর চলবে। শীত বেশি হলে মশা এতে থাকবে না।”
এবার বর্ষার শুরুতে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর ক্রমশ তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কার্যক্রমে শিথিলতার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন মশা মারতে যে ওষুধ দিচ্ছে তা কার্যকর নয় বলে আইসিডিডিআর,বির গবেষণায় উঠে আসে।
এ নিয়ে সমালোচনা আর উদ্বেগের মধ্যে বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়। পরে কোরবানির ঈদের আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন চীন থেকে এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভারত থেকে নতুন ওষুধ নিয়ে আসে।
মশা নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজতে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশ সফর করেছেন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “তারা পরবর্তীতে সিঙ্গাপুরে যাবেন। সিঙ্গাপুরের একটি প্রকল্প আছে… তারা গর্ত করে সব মশা আকৃষ্ট করে সেখানে আনে, তখন সব মশা একসঙ্গে মারা হয়। আমাদের আগে মশা তাড়ানো হতে, তাতে লাভ বেশি হয়নি।”
No comments:
Post a Comment